ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না

তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না

  • আপলোড সময় : ১৯-০২-২০২৫ ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০২-২০২৫ ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন
তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্নার শেষ নেই। কেউ শোনে না তাদের কান্না। হাজারো মানুষের কান্নায় আজ জর্জরিত তিস্তা পাড়ের দুকূল। ভোট আসে দিন বদলায়, কিন্তু তিস্তা পাড়ের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। উপজেলা থেতরাই ইউনিয়নের নগরপাড়ার বাসিন্দা বিধবা মালেকা (৬০) ও মনোয়ারা বেওয়া (৬৫) বলেন, কয়েক বছর আগেও ছিল বসত বাড়িসহ জমিজমা। কিন্তু তিস্তার আগ্রাসী ভাঙনে আজ নিঃস্ব। নেই মাথা গোজার ঠাঁই। কোনো রকমে নদীর কিনারে আশ্রিত আছি। যে কোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে থাকার ঘরটি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে গেলে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে পরিবার নিয়ে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুরে তিস্তার ভাঙনে নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষ। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রামসহ বসতবাড়ি, আবাদি জমি ও স্থাপনা। গাছপালাসহ আধাপাকা বোরো ধানখেত। গত কয়েক বছরে হাজার হাজার বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে শত শত বিঘা আবাদি জমি, গাছপালা, পুকুর ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দিশেহারা হয়ে পরেছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। তিস্তা ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবি জানিয়েছে তিস্তা পারের মানুষ। একই এলাকার লালমিয়া (৬০) বলেন, কয়েক বছর আগে তিস্তা নদীর ভাঙনে আমার ঘরবাড়ি ২০ বার ভেঙেছে। অন্যখানে জায়গা নিয়ে কোনো রকম জীবনযাবন করছি। তাই এই সমাবেশে অবস্থান নিয়েছি। আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি নদীতে যেন বাঁধ দেয়। আমেনা বেওয়া (৫৫) বলেন, তিস্তা নদী আমার সব কিছু নিয়া গেছে। আবাদি জমি গেছে। ৫ লাখ টাকার গাছ নদী ভাঙনের কারণে ৮০-৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। এখন বাড়িটা ভাঙলে আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাবো। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, চলতি বছর অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে ছয় কিলোমিটার পয়েন্টে ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য