ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ফেনীতে ৩ সমন্বয়ককে পিটিয়ে আহত মেহেরপুরে মাইক্রোবাস ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩ পণ্যের নামে বিষ কিনে খাচ্ছেন মানুষ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেন-দুদু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের চিকিৎসা কার্যক্রমে স্থবিরতা পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত, ভারতের পাশে দাঁড়ালো ইসরায়েল চাকরি ফিরে পাচ্ছেন ডা. জোবাইদা রহমান ব্যবসায়ীর ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা স্থাপনে ইউজিসির নতুন নীতিমালা ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে জামায়াত আমিরের প্রতিক্রিয়া মাকে স্বাগত জানানো সবাইকে ধন্যবাদ তারেকের নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ শুরু শিল্পখাতে অশনি সংকেত ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে নাগরিক ঐক্যের বর্ধিত আলোচনা মূল্যস্ফীতির উদ্বেগ কাটেনি বাড়ি ভাড়া-চালের দামে অস্বস্তি একনেক সভায় ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৫ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিশোধ নেয়ার নির্দেশ শাহবাজ শরিফের পাকিস্তানের পাশে তুরস্ক, ভারতের হামলাকে বললো উসকানিমূলক

তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না

  • আপলোড সময় : ১৯-০২-২০২৫ ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০২-২০২৫ ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন
তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্নার শেষ নেই। কেউ শোনে না তাদের কান্না। হাজারো মানুষের কান্নায় আজ জর্জরিত তিস্তা পাড়ের দুকূল। ভোট আসে দিন বদলায়, কিন্তু তিস্তা পাড়ের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। উপজেলা থেতরাই ইউনিয়নের নগরপাড়ার বাসিন্দা বিধবা মালেকা (৬০) ও মনোয়ারা বেওয়া (৬৫) বলেন, কয়েক বছর আগেও ছিল বসত বাড়িসহ জমিজমা। কিন্তু তিস্তার আগ্রাসী ভাঙনে আজ নিঃস্ব। নেই মাথা গোজার ঠাঁই। কোনো রকমে নদীর কিনারে আশ্রিত আছি। যে কোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে থাকার ঘরটি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে গেলে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে পরিবার নিয়ে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুরে তিস্তার ভাঙনে নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষ। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রামসহ বসতবাড়ি, আবাদি জমি ও স্থাপনা। গাছপালাসহ আধাপাকা বোরো ধানখেত। গত কয়েক বছরে হাজার হাজার বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে শত শত বিঘা আবাদি জমি, গাছপালা, পুকুর ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দিশেহারা হয়ে পরেছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। তিস্তা ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবি জানিয়েছে তিস্তা পারের মানুষ। একই এলাকার লালমিয়া (৬০) বলেন, কয়েক বছর আগে তিস্তা নদীর ভাঙনে আমার ঘরবাড়ি ২০ বার ভেঙেছে। অন্যখানে জায়গা নিয়ে কোনো রকম জীবনযাবন করছি। তাই এই সমাবেশে অবস্থান নিয়েছি। আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি নদীতে যেন বাঁধ দেয়। আমেনা বেওয়া (৫৫) বলেন, তিস্তা নদী আমার সব কিছু নিয়া গেছে। আবাদি জমি গেছে। ৫ লাখ টাকার গাছ নদী ভাঙনের কারণে ৮০-৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। এখন বাড়িটা ভাঙলে আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাবো। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, চলতি বছর অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে ছয় কিলোমিটার পয়েন্টে ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য